শুক্রবার (১১ মে) ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে প্রায় ৩২৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
তবে এবার ভোটের মাধ্যমে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন নাকি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না।
ছাত্রলীগের সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
এবারের সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আসা ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি মাথায় রেখেই মূল মঞ্চসহ সর্বসাধারণের বসার স্থান সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি গেটে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাসেবীকর্মীরাও থাকবেন। এবার লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর সমাগম হবে বলে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।
প্রতি বছরের মতো এবারও সম্মেলন দুই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের প্রথম পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন নেতৃত্ব গঠনে কিছু নির্দেশনা দিয়ে যাবেন। সেই নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হবেন। একই সঙ্গে সোহাগ-জাকির কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা করা হবে।
এবার ছাত্রলীগ নেতাদের বয়সের ক্ষেত্রে তিন ক্যাটাগরিতে ফরম বাছাই করে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ২৭ বছর, ২৯ বছর এবং ২৯ ঊর্ধ্ব বয়সীরা। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী যদি ২৭ বছর নির্ধারণ করে দেন তাহলে তার বেশি বয়সীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবেন। একইভাবে যদি ২৯ বছর নির্ধারণ করেন তাহলে তার বেশি বয়সীরা বাদ পড়বেন। সেভাবে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে ফরমগুলো।
মূল সম্মেলন শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। বেলা ১২টা থেকে নেতাকর্মীসহ সম্মেলনস্থলে সর্ব সাধারণ প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। এবারের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার পর কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও নগরবাউল খ্যাত জেমস উপস্থিত থাকবেন।
ছাত্রলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী এনায়েত বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত আমাদের ৯০ ভাগ কাজ শেষ, বাকি কাজ রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। এবার যেহেতু বৃষ্টির সময় সম্মেলন হচ্ছে তাই আমাদের সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া আছে। বৃষ্টি হলেও সম্মেলনস্থলে কেউ ভিজবে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ মে) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় মাথার উপরের সামিয়ানা টাঙানো শেষ। চলছে মূল মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ। বিকেল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো সম্মেলনস্থল তাদের নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে নিয়েছে।
দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এসএসএফ ও র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, র্যাবের ডগ স্কোয়াড, পুলিশের বিশেষ বাহিনী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন করে নিজেদের কর্ম ঝালিয়ে নিচ্ছে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে সম্মেলনস্থল ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় থাকবে।
ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন আরিফুর রহমান লিমন। এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোট প্রক্রিয়া নির্বাচন হলে আমাদের ১১০টি ইউনিটের প্রত্যেক কমিটির ২৫টি করে মোট ২ হাজার ৭৫০টি ভোট রয়েছে। এছাড়া গঠণতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০১টি ভোট রয়েছে। এদের ভোটের মাধ্যমেই হবে, আর যদি নেত্রী নির্ধারণ করে দেন তাহলে তো কথাই নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ