তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সম্মেলনে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। তাদের নেতৃত্ব তারাই (ছাত্রলীগ) নির্বাচন করবে আর নেত্রী (শেখ হাসিনা) যেহেতু সাংগঠনিক দায়িত্বে আছেন তার নির্দেশেই হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) আওয়ামী লীগের এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের এই সম্মেলনকে সফল করার দায়িত্ব আমাদের রয়েছে। ছাত্রলীগ যদিও আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে রয়েছে আমাদের নেত্রী হলেন তাদের সাংগঠনিক নেতা। নেত্রী যেখানে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী, আর আমরাও ছাত্রলীগ করে আওয়ামী লীগে এসেছি আমাদের দায়িত্ব আছে।
ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে শিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, অভিযোগ আসতে পারে, এ অভিযোগের সত্যতা নিয়ে আমরা খোঁজ নিয়েছি। এখন তো তার টার্ম ওভার হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ তাকে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেছে, তাই এ বিষয়ে আমরা প্রশ্ন তুলতে পারি না।
ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা নিয়ে যেসব কথা, নালিশ রয়েছে সে ব্যাপারে নেত্রীর নির্দেশে আমরা সিরিয়াসলি খতিয়ে দেখছি। নেত্রী নিজেও একটা টিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে এবং নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে অনুপ্রবেশকারী কেউ যেন নেতৃত্বে স্থান না পায় সে বিষয়ে কঠোর যাচাই-বাছাই হচ্ছে। ছাত্রলীগের নেত্রী শেখ হাসিনা, আপনারা যে কথা বলছেন সেটি তার নলেজে আছে, অভিযোগও এসেছে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
গাজীপুর ও খুলনা সিটির নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ১৫ মে হওয়ার কথা ছিলো। খুলনার কার্যক্রম যথারীতি চলছে। অন্যদিকে গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের সীমানা নিয়ে সংক্ষুব্ধ একজনের মামলায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিলো। শুনানি শেষে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব কমিশনের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মামলার বিষয়ে দল, বেদল বলা যায় না। কারণ, যে লোকটি (গাজীপুরের) মামলাটি করেছিলেন ১০ এপ্রিল তার মামলার শুনানিতে ছিলেন মওদুদ আহমেদ, তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটা তো প্রমাণিত।
গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে আমাদের প্রার্থীর বিষয়ে আমরা শতভাগ নিশ্চিত আছি। আমরা পপুলার প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের দুই প্রার্থীই ক্লিন ইমেজের। আমরা জানি আমাদের প্রার্থী জিতবে, আমরা কেন মামলা করতে যাবো? এর সঙ্গে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, যোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের এ যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ