অভিযোগ পাওয়া যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন গ্রন্থাগারের ভেতরে ঢুকে যায়। কয়েকজকে গ্রন্থাগার চত্বর দিয়ে ধাওয়া দিয়ে চড়-থাপ্পড় মারে।
এরমধ্যে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সিনহা হাতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া দিয়ে আব্দুল্লাহ শুভ ও অন্তর নামে দুজনকে মারধর করেবলেও জানা যায়।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ব্যানার নিয়ে চলে যায়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিবহন মার্কেট দিয়ে শোডাউন দিয়ে পুনরায় গ্রন্থাগারের সামনে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে শোডাউন দেয়।
তবে ধাওয়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজেক বলেন, ‘আমরা কাউকে ধাওয়া দিইনি। স্বাভাবিকভাবে ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছি। যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ’
কোটা সংস্কার আন্দোলন রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রায় দেড়শ’ জন মানববন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে আমাদের ধাওয়া করা হয়। এসময় আমাদের পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারীকে মারধর করেন। ’
এর আগে শনিবার (৩০ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোটা সংস্কারের নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ওই রাতে তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আগামীকাল (রোববার) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। কোটা আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৮
জিপি