শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের মহাজোট বিপুল ভোটে বিজয়লাভ করবে আগামী নির্বাচনে।
মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, মনোনয়ন তালিকা ২৭ নভেম্বরের মধ্যে করার কোনো বিকল্প নেই। ২৭ নভেম্বর অতিক্রম করা যাবে না। আমরা আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট- ইলেক্টেবল ও উইনেবল প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনোনয়নের জন্য আমরা যে তালিকা চূড়ান্ত করেছিলাম, সেখানেও শেষ মুহূর্তে অনেক পরিবর্তন আসছে।
বুড়িগঙ্গা নদীতে যশোর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবুর মরদেহ পাওয়ার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তাদের (বিএনপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক। একে (আবু) সরিয়ে দিলে আরেকজন মনোনয়ন পাবে, এটাও হতে পারে। বিষয়টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ সমস্যা হতে পারে। বিএনপির এই প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব নেই, কোনো স্বার্থেরও বিষয় নেই।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো ধরনের সংখ্যাতত্ত্বের হিসবে আমরা দেবো না, তবে এটুকু বলতে পারি হিসেবের অংকে আগামী নির্বাচনে আমাদের দল ও জোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। তবে এসব কথা বলা উচিত নয়, এতে জনগণকে অসম্মান করা হয়। জনগণ আমাদের যত আসনে ভোট দেবে আমরা ততই পাব। আমরা কোন সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাস করতে চাই না। কে কত আসন পাবে দেশের জনগণই তা ঠিক করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি স্বপ্নবিলাসী দল, তারা তো এর আগের নির্বাচনে আমাদের ত্রিশ আসন দিয়েছিল, পরে তারা নিজেরাই পেয়েছিল ৩০ আসন। এবার তারা ২৫ দিচ্ছে, ৩০ দিচ্ছে। কাদের সিদ্দিকি তো ১০ আসন দিচ্ছে। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে যে জোয়ার দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে তাদের এই জোয়ার নেই। সারা দেশে নৌকার জোয়ার। এই সাময়িক জোয়ারে ক্ষমতার রঙিন খোয়াব যদি বিএনপি নেতারা দেখেন, তাহলে ৩০ ডিসেম্বর টের পাবেন।
‘নাশকতা করা বিএনপির পুরনো স্বভাব’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ সালে তারা নাশকতা করেছে, ভয়াবহ চিত্র দেখিয়েছে। শীতকালে নির্বাচন হওয়ায় এবারও নাশকতার শঙ্কা থাকেই!
জোট শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসেঙ্গ এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসন নিয়ে দরকষাকষি তো হবেই, এটা গণতন্ত্রের অংশ। বিশ্বের অন্য দেশেও হয়। জোটে কোনো টানাপোড়েন নেই। এখানে বানরের পিঠা ভাগ করে লাভ নেই। সবকিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। এখানে কে কত সিটে জিততে পারবে, এটাই হলো আমাদের প্রাইম কনসিডারেশন। আসন বণ্টন মৌখিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে। আমি বারবার বলেছি, প্রার্থীকে ইলেক্টেবল হতে হবে, ইউনেবল হতে হবে। সে ক্ষেত্রে ৬৫-৭০ এর জায়গায় ২/৪টা বাড়তেও পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যেরর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮/আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা
এসকে/এইচএ/এমজেএফ