শনিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ইশতেহার উপ কমিটির সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ইশতেহারের খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এ খসড়াটি আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। তিনি যদি অনুমোদন দিলে ইশতেহার প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ইশতেহার তৈরির আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের ২০১৬ সালের কাউন্সিলে যে ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় সেই ঘোষণাপত্রকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ১০ বছর ক্ষমতায় আছি অনেক উন্নয়ন করেছি। সামনের দিনে ক্ষমতায় এলে কি করবো সে কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের সরকার দেশের আর্থ সামাজিক ও ভৌত অবকাঠামোর যে ভিত্তি রচনা করেছে, দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছে তার গতিধারাকে আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইশতেহারে প্রবৃদ্ধি কিভাবে বাড়ানো হবে, দারিদ্র্যমুক্ত ও তরুণ সমাজের উন্নয়নে কি করা হবে, আমাদের একটি বিরাট অংশ তরুণ, তাদের কিভাবে কাজে লাগানো যায়, আগামী দিনের উন্নয়নের সঙ্গে দেশ পরিচলানার সঙ্গে তাদের কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, তাদের জীবীকা ও আয় বাড়ানো যায়, জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসন হবে সেটা কিভাবে করা যায় এই বিষয়গুলো আছে। এ বিষয়গুলো কি করা যায় ইশতেহারে সেটা তুলে ধরা হয়েছে। এখন নেত্রী কোনো সুপারিশ দিলে সেটা সংযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, মার্কা পাওয়ার পর ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। ইশতেহারের দুই-তিনটি স্লোগান ঠিক করা হয়েছে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) একটি চূড়ান্ত করবেন।
আগামী ১১ ডিসেম্বরের দিকে প্রকাশ করা হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. রাজ্জাক বলেন, সেটা হতে পারে। তবে মার্কা বরাদ্দ হওয়ার পর পরই ইশতেহার দেওয়া হবে।
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অনুপম সেন, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক সাত্তার মন্ডল, অধ্যাপক শফিকুজ্জামান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, আক্তারুজ্জামান, শেখর দত্ত, মেরিনা জাহান, কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এসকে/এসএইচ