হামলায় নিহত লস্কর খানের ছেলে সুলতান খান বাদী হয়ে বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারায় আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং জাসদ থেকে যোগদানকারী আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ খানের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান গ্রুপ প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে মামলার বাদী সুলতানের বাবা মহসীন খান লস্কর (৬৮) ও প্রতিবেশী চাচা আব্দুল মালেক (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় দুই নারীসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা লস্কর খান ও তার প্রতিবেশীকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার পর তাদের বাড়িতে ব্যাপক লুটতরাজ করে। এসময় হামলাকারীরা নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
জিপি