এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও নির্বাচনী অফিস।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় ভূঁইয়ারহাট বাজার ও আশেপাশের এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল কর্মী আকবর ও রুবেলসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন। অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে ভূঁইয়ারহাট বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা ও পথাসভা করছিলেন বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বাজারে প্রবেশ করলো বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এসময় সংঘর্ষকারীরা পাল্টা-পাল্টি একে অন্যের নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরে অভিযোগ করে।
নোয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, ‘তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে ভূঁইয়ারহাটে পথসভা শেষে বের হওয়ার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার অন্তত ২০ জন
নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহত কয়েকজনেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হামলাকারীরা তার নেতাকর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও চারটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। ’
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ধানের শীষ মার্কার কর্মীরা ভূঁইয়ারহাট বাজারে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম করে তারা। ’
বিএনপির নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তিনি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
জিপি