শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার নশাসন বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উত্তর পাশে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেরে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে মারা যান। নিহত ইমরান ওই ইউনিয়নের মাঝি কান্দি গ্রামের মৃত ফয়জুল সরদারের ছেলে। তিনি নশাসন ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়া নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডগ্রি ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার তালুকদারের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন।
দেলোয়ার তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, রাতে ডিউটি শেষে আমার বাড়িতে গাড়ি রেখে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন ইমরান। বাড়ি ফেরার পথে ইমরানকে কুপিয়ে গুরুতর অবস্থায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এসয় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারী ইমরানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আনিছ উদ্দিন ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, রাতে নশাসন বাজারের জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে বাজারে ছিলাম। এসময় এক অটোরিকশচালক এখান দিয়ে যাওয়ার সময় জানান, ব্রিজের উত্তর পাশে এক লোক পড়ে আছে। তখন আমরা গিয়ে দেখি ইমরানকে কারা যেন কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে গেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। পরে তিনি মারা যান।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ইমরানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তদন্তের স্বার্থে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের নাম বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
জিপি