গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে বেসরকারি একটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে শোভন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার সময় এই কাণ্ড ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি বিমানবন্দরে এলে তাকে বিদায় জানাতে শত শত নেতাকর্মী ওসমানীতে জড়ো হন।
তখন ভিআইপি ফটকে দায়িত্বে ছিলেন এভিয়েশনের কর্মী আবুল হাসান। তাকে ঠেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্লেনে গিয়ে ফুল দিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতিকে বিদায় জানান। এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই ফ্লাইটের অন্য যাত্রীরা। আতঙ্কে বেরিয়ে পড়েন ফ্লাইট পরিচালনায় থাকা বিদেশি পাইলট।
তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নজরুল ইসলামসহ এভিয়েশনের অন্য কর্মকর্তারা দৌড়ে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের টেনে প্লেন থেকে বের করে আনেন।
ঘটনাটি প্রথমে জানাজানি না হলেও ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা শোভনকে প্লেনে উঠে বিদায় জানানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতেই আলোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়েও।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি ক্যাটাগরিতে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ তিনি কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। বিমানবন্দরে আমর্ড পুলিশ, আনসার সদস্য ও জরুরি প্রয়োজনে ক্রাইসিস রেসপন্স টিম (সিআরটি) কাজ করে থাকে। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অ্যাপ্রনে ঢুকে প্লেনে উঠে পড়ায় সেই বাহিনীগুলোর সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্র জানায়, নিরাপত্তার জাল ছিঁড়ে অ্যাপ্রনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রবেশের ঘটনায় ওসমানী বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদকে ভিডিও ফুটেজসহ ঢাকায় ডাকা হয়েছে। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকারের সবগুলো সংস্থা। তারা ঘটনার ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহ করেছে বলে জানায় ওই সূত্র।
এ বিষয়ে জানতে ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এনইউ/এইচএ/