সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন ও দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত কমিটিতে মোস্তাক মেম্বারকে আহ্বায়ক করে ২২ সদস্যের এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংগঠনটির সূত্র জানায়, দাউদকান্দি উপজেলা যুবলীগের দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক হেলাল মাহমুদ ও মেহেদি হাসান সুমন রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজারুল সরকারকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন।
এ কমিটি ঘোষণার পর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের তৃণমূল কয়েকজন নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যখন সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে শুদ্ধি অভিযান চালানোর নির্দেশে দিয়েছেন, ঠিক এসময় এসময় মারুকা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ককে ওই ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ঘোষণা করা হলো।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাজারুল সরকার বলেন, এমপি স্যারের সঙ্গে কথা বলে হেলাল ও সুমন আমাকে আহ্বায়ক করেছিলো। আনোয়ার ভাই আমাকে বলেন যে কমিটি অনুমোদন দিতে আমাদের কিছু খরচ লাগে, আমি খরচ দিতে অস্বীকার করায় পরদিন আমাকে বাদ দিয়ে যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাক মেম্বারকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এই সদস্য আক্ষেপ করে বলেন, একসময় ছাত্রলীগ করতে গিয়ে যাদের হাতে মার খেয়েছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, টাকার বিনিময়ে আমাকে বাদ দিয়ে তাদের কমিটিতে আনা হচ্ছে। এখানে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
যোগাযোগ করলে মোস্তাক আহমেদ মেম্বার বাংলানিউজকে বলেন, আমি একজন সামাজিক লোক, সমাজসেবা করাই আমার কাজ। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যুবদল করে সমাজসেবা করেছি, এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তাই সমাজসেবা করার জন্যই যুবলীগ করছি।
কত টাকার বিনিময় আহ্বায়ক হয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভাই আপনারাতো জানেন কমিটি হলে লোকজন নিয়ে যেতে হয়, নেতাদের আপ্যায়ন করতে হয়, তাই কিছুতো খরচ হবেই।
তবে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মোস্তাক মেম্বার এর আগে মারুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। তার আগে তিনি বিএনপি করতেন, এখন তিনি যুবলীগের সক্রিয় লোক। অনেক কেন্দ্রীয় নেতাও দল-বদল করেন। তাই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই মোস্তাক মেম্বারকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। আর আহ্বায়কের স্বাক্ষর ছাড়া কোনো কমিটি অনুমোদন হয় না। যুগ্ম-আহ্বায়ক হেলাল মাহমুদ ও মেহেদি হাসান সুমন আমার সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই স্বাক্ষর করেছে। তাই পরদিন সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা কমিটি ঘোষণা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এইচএ/