ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটিতে দেখা যায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ প্রভাবশালী নেতারা বসে আছেন। আর টেবিলের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছেন।
আরেকটি ছবিতে ওমর ফারুক চৌধুরী হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকলেও আসাদকে চেয়ার পেছনে ঠেলে সরে যেতে দেখা যায়। ছবিটি গত ৮ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের।
তবে ঘটনার একদিন পর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শনিবার (০৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে এই ছবিটি তার ফেসবুক টাইমলাইনের নিউজফিডে পোস্ট করেন। অথচ অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীপন্থি নেতা বলেই পরিচিত। তাই তিনি হঠাৎ কেন সেই দিনের এই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে এরইমধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের ব্যক্তিগত টাইমলাইনে ওই ছবিটি ভাসতে দেখা যায়। এরপর থেকে আর ছবিটি দেখা যাচ্ছে না। তিনি ফেসবুক থেকে ছবিটি ডিলিট করে দিলেও তার ‘স্ক্রিনশট’ এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নেতাদের ওই বৈঠকে রাজশাহী জেলা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এবং ৪ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে এই সম্মেলন আয়োজনের জন্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন থেকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তাদের মধ্যে কথা বলাবলি পর্যন্ত হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
এসএস/জেডএস