রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এই দু’জনের নাম ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরও দু’টি নাম ঘোষণা করা হয়।
ফলে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাদ পড়লেন বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এর মধ্যে সাবেক সভাপতি রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবারও সভাপতি পদে প্রত্যাশী ছিলেন। এছাড়া জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদও একই পদপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে এই দুইজনের বাইরে নতুন মুখ ঘোষণা করলো দলীয় হাইকমান্ড। এর মধ্যে মেরাজ উদ্দিন মোল্লা এর দু’মেয়াদ আগের জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
পরে বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. নাসিম।
রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন চলে দুপুর পর্যন্ত। মঞ্চে আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে বিকেলে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুরু হয় দ্বিতীয় অধিবেশন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা মেরিনা জাহান, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগ সম্পাদকমণ্ডলীর উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান।
সম্মেলনের বক্তা হিসেবে ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ও রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আনজুম আদিবা মিতা।
এর আগে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রোববার (৮ ডিসেম্বর) আবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। টান টান উত্তেজনা থাকায় গেলবার কেবল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেই চলে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। তৃণমূলের নেতারা সরাসরি ভোটে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ভোট না দিয়ে শেষ পর্যন্ত এবারও ঘোষণাই করা হলো জেলা কমিটির এই শীর্ষ দুই নেতার নাম।
সম্মেলনকে ঘিরে কিছু দিন থেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা ডালপালা মেললেও শেষ পর্যন্ত সবকিছুই হলো চমকের মতো। এবারের সম্মেলনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৩৬০ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএস/এএটি