রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকা উত্তরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে আতিকুলের নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে, দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হয়।
এবারের নির্বাচনে উত্তর সিটিতে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের আশায় ফরম জমা দিয়েছিলেন- আতিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের শহীদুল্লাহ ওসমানী, সামজিক সংগঠন ‘একটি পরিকল্পিত নগরী’র চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন নান্নু, ভাসানটেক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেজর (অব.) মোহাম্মদ ইয়াদ আলী ফকির, শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক মোহাম্মদ জামান ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, জেরিন সুলতানা কান্তা, ব্যবসায়ী আদম তমিজি হক, খায়রুল মজিদ, মিসেস রেহেনা ফরহাদ আইভি ও মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী মোল্লা।
গত ২৫ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে আতিকুল ইসলামের পক্ষে তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ২৭ জানুয়ারি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে আতিক বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রায় নয় মাস অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ‘সবাইকে নিয়ে সবার ঢাকা’ গড়ে তুলতে পারবো।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আতিকুল ইসলাম। ৭ মার্চ মেয়র হিসেবে শপথ নেন তিনি। এর আগে ২০১৩-১৪ মেয়াদে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
উপ-নির্বাচনে ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্থলাভিষিক্ত হন আতিকুল ইসলাম। নৌকার প্রার্থী হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ পান মাত্র ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট। ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।
আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আতিকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এসকে/একে