বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধীদল হচ্ছে বিএনপি, মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা রাজপথে আন্দোলন করে বিরোধীদল হিসেবে সফলতা পায়নি। নির্বাচনেও তারা পরাজিত হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন> নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে না পেরে মনোকষ্টে কাদের
ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ভোট কারচুপির কথা ভোট গণনা পর্যন্ত বলতে থাকবে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস। চট্টগ্রাম, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জিতেই গেছে। তারপরও দেখা গেছে তাদের প্রার্থী রাস্তায় বসে গেছে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে।
ধানের শীষে গণজোয়ার এসেছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার এটা দিবাস্বপ্নের মতো, এর কোনো বাস্তবতা নেই। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে বোঝা যাবে গণজোয়ার কোন দিকে। গণজোয়ার ধানের শীষের পক্ষে না নৌকার পক্ষে, সেটা সেদিন প্রমাণ হবে। দিবাস্বপ্ন দেখেতো লাভ নেই। তারা দিবাস্বপ্ন দেখতে পারেন এরকম দিবাস্বপ্ন ও গণজোয়ারের কথা জাতীয় নির্বাচনের আগেও তারা বলেছে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সকালে বলেছেন কারচুপি হলে সরকার পতনের আন্দোলনে ডাক দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মির্জা আব্বাসের মনে যে কি আছে তা আমরা কেউ জানি না।
কেবিনেট বৈঠকে প্রথম আলো ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আদালতের বিষয়। আমরা এই ইস্যুতে কিছু বলতে চাই না। এটা আদালতের বিষয়, আদালত যদি জামিন দেন দেবে। জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের। বিচার বিভাগ স্বাধীন কর্তৃত্বপূর্ণ, তাদের যে ক্ষমতা রয়েছে সেখানে আমাদের সরকার বা দলের কিছু বলার নেই।
গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের জন্য কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আদালতের বিষয়। গ্রেফতারি পারোয়ানা আদালত থেকে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। যা হবে আদালতে হবে। জামিন দিলেও আদালত দেবে, মুক্তি দিলেও আদালত দেবে। সরকারের এখানে ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো ব্যাপার নেই। আমরা কেন এখানে জড়াতে যাবো। এটাতো সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের কোনো কিছু নেই। এটা একটা ঘটনা ঘটেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তারা আবার জামিন নিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
জিসিজি/জেডএস