বাহরাইন: বাঙালির বিশেষ একটি দিক হলো সামাজিক ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাস করুক না কেন সেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের টান উপভোগ করেন বাংলাদেশিরা।
ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দের বন্ধনকে সুদৃঢ় করার জন্য বাহরাইনে অবস্থানরত কুমিল্লার মেঘনাবাসীরা গঠন করেছে সামাজিক সংগঠন ‘মেঘনা প্রবাসী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি’।
তাদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বাহরাইনের রাজধানী থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে জাখির এলাকায় মরুভূমির কোলে আরাবিক বাংলোয় বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
গন্তব্যে পৌঁছে সবাই নয়ন ভরে দেখে নেন মরুর বুকে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
সমিতির সভাপতি আবু জাফর হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল পলাশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ও কোষাধ্যক্ষ নুরুল হকের আয়োজনে বাহরাইনের বিভিন্ন অঞ্চলের অতিথিরা সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকে।
দিনভর রকমারি খাবার-দাবার, দেশাত্ত্ববোধক গান, গল্প, নৃত্য, ব্যাডমিন্টন খেলা, হাঁসি, আড্ডা ও করতালির মধ্যে তাদের বাঁধভাঙ্গা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পরিণত ছিল।
প্রবাসের হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও অনেকদিন পর একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ায় সবাই আনন্দিত।
বিকেলে মেঘনাবাসীদের আনন্দ আয়োজনে শরিক হতে উপস্থিত হন বাংলাদেশ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হামেদ কাজী হাসান, আল হাল্লাক রিয়েল এস্টেটের পরিচালক মিজানুর রহমান ও সাংবাদিক সাইফুল প্রমুখ।
সমিতির সভাপতি আবু জাফর হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রবাসে কঠিন কর্মব্যস্ততায় জীবন যখন হাঁপিয়ে ওঠে, তখন একটুখানি প্রশান্তি পেতে আমাদের এ আয়োজন।
বাহরাইনের আল হাল্লাক রিয়েল এস্টেটের পরিচালক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অন্য যেকোন সংগঠন থেকে মেঘনা ব্যতিক্রম। কারণ তাদের সব সদস্য সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত থেকে প্রবাসে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।
এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমরান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নূরা আলম, প্রচার সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সেনারা বেগম, রুনা আক্তার, পপি আক্তার, আয়েশা আক্তার, জায়েদা বেগম, জেসমিন আক্তার, মো. স্বপন, মো. শহীদ, সালাউদ্দীন, রমজান, মোয়াজ্জেম হোসেন, জাহিদ হাওলাদার, নাসিম, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন, ইসমাঈল হোসেন, মো. আরিফ, আল আমিন, মো. ফয়সাল, আনোয়ার হোসেন মিয়া, মো. মানিক, মুক্তার হোসেন, জোস্না আক্তার, সামিরান নেসা, সালাউদ্দীন মোল্লা, নাজমা আক্তার, মাজহারুল ইসলাম ও খাদিজা বেগম প্রমুখ।
দুপুর ও রাতের খাবারে পরিবেশিত হয় দেশীয় গরুর মাংস, পোলাও, মুরগির রোস্ট, সবজিসহ রকমারি সালাদ, ডেজাট ও চকলেটের স্বাদের তারিফ করেন অতিথিরা।
সারাদিনের আনন্দ-বিনোদন শেষে রাত ১০টায় একরাশ তৃপ্তি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৬
আরবি/এসএইচ