আখাউড়া: আখাউড়া-আশুগঞ্জ-মকুন্দুপুর ও কুমিল্লা সেকশনের ৯৫ কিলোমিটার রেলপথে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং প্রায় ৬৫টি। আর এই মরণফাঁদের মধ্য দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করছে।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেল লাইনের ওপর দিয়ে অনুমতিবিহীন সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, পৌরসভা ও ইউনিয়নের নির্মাণ করা প্রায় ৬৫টি স্থানে সড়ক রয়েছে। রেলওয়ে আইনে এই লেভেল ক্রসিংগুলো অবৈধ।
নিয়ম অনুযায়ী রেল লাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে হলে রেলওয়ের সংশিষ্ট বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। তবে অনুমতি ছাড়াই ওইসব স্থানে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে বলে রেলওয়ের সংশিষ্ট বিভাগের দাবি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৬৫টির মধ্যে আখাউড়া-আশুগঞ্জ সেকশনের রেলপথে ১৫টি, আখাউড়া-মকুন্দুপুর সেকশনে ৯টি, আখাউড়া-কুমিল্লা সেকশনে ২৪টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এ হিসাবে অবৈধ লেভেল ক্রসিঙের সংখ্যা ৪৮টি।
তবে গ্রামের ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ছোট ছোট অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর হিসাব এর মধ্যে ধরা হয়নি। আখাউড়া-কুমিল্লা সেকশনে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর লেভেল ক্রসিংয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে ছোট এক নোটিশ বোর্ড রয়েছে। এসব নোটিশ বোর্ডে নিজ দায়িত্বে লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-আগরতলা আর্ন্তজাতিক সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন ভারতের রপ্তানি পণ্যবাহী কয়েক শ’ ট্রাক ও আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এ রেল গেটে কোনো স্থায়ী গেটম্যান না থাকায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। গত ৫ বছরে এ লেভেল ক্রসিংয়ে প্রায় ১০ জন নিহত ও ২ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের (চট্টগ্রাম) প্রধান প্রকৌশলী ইউসুফ আলী মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনুমতিবিহীন রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে লেভেল ক্রসিংয়ে গেট নির্মাণের জন্য। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। রেলওয়ে আইনে রেল লাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে ওই প্রতিষ্ঠানকেই গেট নির্মাণ ও গেটম্যানের খরচ বহন করতে হবে। ’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ৭/৮টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণের জন্য কর্তৃপরে কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১০