ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই ই-বুক হচ্ছে

তুহিন শুভ্র অধিকারী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই ই-বুক হচ্ছে

ঢাকা: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল পাঠ্যবইকে ইলেক্ট্রনিক বুক বা ই-বুক করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু সংখ্যক বই ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে। পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়েরও সকল বইকে ই-বুকে রূপান্তরের কাজ করা হবে।

এর ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের সহায়তায় বই পড়তে পারবে এবং প্রয়োজনে বই ডাউনলোড করতে পারবে। তাছাড়া বইয়ের আর্কাইভ তৈরিকে সহজতর করবে এ উদ্যোগ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের কারিগরি সহযোগিতায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যাপুস্তক বোর্ড এর অধীনে রূপান্তরের কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

একসেস টু ইনফরমেশন প্রজেক্ট এর পরামর্শক আফজাল হোসেন সারোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক ই-বুকে রূপান্তরের কাজ ডিসেম্বর মাসেই শুরু হয়েছে। আশা করছি, ফের্রুয়ারি মাসের মধ্যেই কিছু সংখ্যক বই ইন্টারনেটে দিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ’

তিনি জানান, ই-বুকটি একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া এনসিটিবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকটি ওয়েব সাইটের লিংক (যুক্ত) করে দেওয়া হবে। ফলে এসব সাইট থেকেও শিক্ষার্থীরা বইটি পড়তে পারবে।

জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব মো. আব্দুল করিমের সভপতিত্বে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যাপুস্তক বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কিছু বই ইন্টারনেটে ছাড়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রাথমিকের বাকী বই ও মাধ্যামিকের সকল বই ই-বুকে রূপান্তর করা হবে।

বর্তমানে এনসিটিবির ওয়েব সাইটে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো পিডিএফ ফরমে রয়েছে। ই-বুকের এ উদ্যেগের ফলে সাধারণ বইয়ের মতো এর পাতা উল্টানো যাবে বা নিদের্শনা দিয়ে নির্দিষ্ট পাতা খোলা যাবে। এতে বই ব্যবহার অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।

উল্লেখ্য বর্তমান সরকার ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রেণীতে শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নানারকম চিত্র, ভিডিও প্রদর্শন, পর্যবেক্ষণ এবং সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে (নবম শ্রেণী) প্রবেশের পূর্বেই সকল শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলা ও জ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর (ডিজিটাল) বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে।

ই-বুকের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন সারোয়ার বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের কঠিন বিষয়কে সহজ ও মজাদার করে উপস্থাপন করা। শিক্ষার্থীদের পাঠের সহায়ক হিসেবেও কাজ করবে ই-বুক।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া দেশের বাইরে যেসব শিক্ষার্থীরাও এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। কারণ তারা দেশের বাইরে থেকেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ বই পড়তে পারবে।

এ সম্পর্কে একসেস টু ইনফরমেশন প্রজেক্ট এর জেষ্ঠ পরামর্শক অধ্যাপক ফারুক আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন তিনি বলেন, এ উদ্যোগ বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপকারে আসবে। তাছাড়া বইয়ের আরকাইভ তৈরিতে এটি খুবই সহায়ক হবে।

তিনি আরো বলেন, এ উদ্যোগ গবেষকদেরও উপকারে আসবে কারণ তারা বাইরে বই না পেলেও ইন্টারনেট থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে যাতে বইটি ডাউনলোড করা যায় তার জন্যই এব্যবস্থা করা হয়েছে।  

ভবিষ্যতে ই-বুককে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য ভিডিও ও এনিমেশন সংযুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।