ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

অটোমোবাইল ওয়ার্কশপগুলো নভেম্বর থেকে ফিটনেস সনদ দেবে

নিয়াজ জামান সজীব,স্টাফ রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১১
অটোমোবাইল ওয়ার্কশপগুলো নভেম্বর থেকে ফিটনেস সনদ দেবে

ঢাকা: ব্যক্তি মালিকানাধীন অটোমোবাইল ওয়ার্কশপগুলোকে নভেম্বর থেকে যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই দেশের সকল অটোমোবাইল ওয়ার্কসপকে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে।



যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে  বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিআরটিএ পরিচালক সাইফুল হক ।

বিআরটিএ অফিস সূত্র জানিয়েছে, ফিটনেস সনদ দেওয়ার দায়িত্ব বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এরপর অটোমোবাইল ওয়ার্কশপগুলোকে (মোটর গ্যারেজ) বিআরটিএ এর নিবন্ধনভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। নিবন্ধন ফি নির্ধারণের জন্য এরই মধ্যে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে সভাও করা হয়েছে। মতামত দেওয়ার জন্য মালিক সমিতি এক মাসের সময় চেয়েছে।

নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হলে কেবল নিবন্ধিত অটোমোবাইল ওয়ার্কশপগুলো ফিটনেস সনদ দেবে। তখন শুধু সরকারি ফি অফিসে গ্রহণ করা হবে। আর যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করে সনদ দেবে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ।  

বিআরটিএ পরিচালক সাইফুল হক আশা করছেন, এই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি অনেক কমে যাবে। তখন ভুলভাবে সনদ দিলে  অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ দায়ী থাকবে। নতুন প্রক্রিয়া শুরু হলে দুর্নীতি দূর হয়ে যাবে। এখন বিআরটিএ নিজে কাজ করছে। বেসরকারি খাতে দেওয়া হলে বিআরটিএ কাজ বুঝে নিবে। কাজ করা আর বুঝে নেওয়ার মধ্যে পার্থক্য অনেক। আমরা তখন শতভাগ চাপ প্রয়োগ করে কাজ বুঝে নিতে পারব।

অটোমোবাইল ওয়ার্কশপগুলো উৎকোচ নিয়ে সনদ দিলে ওয়ার্কশপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অফিসে আসতে ফি জমা দিতে আবার অটোমোবাইল ওয়ার্কশপকে ম্যানেজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ার আশংকা সম্ভবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়ির কোনও ত্রুটি থাকলে সেটির বাইরে কোনও চার্জ নিতে পারবে না অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ। সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। ’

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে পরিচিত যানবাহন ফিটনেস প্রদান শাখা। এই শাখাটির বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। শাখাটির কর্তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি না দেখেই কালোধোঁয়া নির্গমনকারী গাড়ি ও ত্রুটিপূনণ গাড়ির সনদ দেওয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে এই ফিটনেস প্রদান কার্যক্রম বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন,  ‘যা-ই করা হোক সেটার যেন ধারাবাহিকতা থাকে। গাড়ির ফিটনেস না থাকলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা,৫ এপ্রিল ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।