ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

মন্দা যাচ্ছে প্রবাসী আয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৬
মন্দা যাচ্ছে প্রবাসী আয়ে

ঢাকা: মন্দা সময় যাচ্ছে প্রবাসী আয়ে। প্রতি মাসেই কমছে রেমিট্যান্স।

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে মার্চের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কম। সেই সঙ্গে আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কম।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। কারণ মূল্য হ্রাসের ফলে জ্বালানি তেলনির্ভর দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে। ফলে তারা আগের তুলনায় কম রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল এই ১০ মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বাবদ ১ হাজার ২২৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন।
 
যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার।
 
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ১০ কোটি ডলার। গেল বছরের এপ্রিল মাসে দেশে যেখানে ১২৯ কোটি ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, সেখানে চলতি বছরের এপ্রিলে এসেছে মাত্র ১১৯ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।
 
এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স আসে ১২৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। গত বছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।
 
এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। বিশেষায়িত খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ এক কোটি ১৯ লাখ ডলার।
 
দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮০ কোটি ৭১ লাখ ডলার। আর বিদেশি মালিকানার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ এক কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
 
অন্যদিকে, বরাবরের মতো এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩০ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের পুরো সময়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে রেকর্ড ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এসেছিল ১ হাজার ৪২২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে আসে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার।
 
একইভাবে চলতি অর্থবছরের জুলাই, নভেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে। অন্য মাসগুলোতে বাড়লেও তা অতি সামান্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৬
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।