ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। আগামী ৫/৬ বছর বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি ভালো ছিল না। গত ছয় বছরে তা যখন সহনীয় পর্যায়ে এসেছে, তখন আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে নজর দিয়েছি। আর শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা হঠাৎ করে শুরু করা যায় না’।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে মুহিত বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো আছে। প্রায় ৯০ শতাংশ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো মাধ্যমিক পর্যায়ে। প্রাথমিক শেষ করা ৪০ শতাংশ শিশু মাধ্যমিকে যাচ্ছে না। তারা ঝরে পড়ছে। অর্থাৎ জ্ঞানের জগতে প্রবেশের আগেই তাদের শিক্ষা জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাধ্যমিকের পাঠ পদ্ধতিও ভালো নয়। তবে বর্তমান সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত এ অবস্থার উন্নতি হবে। মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ২০ শতাংশ কমাতে পারবো এবং মাধ্যমিক পাঠদানের মানও উন্নত হবে বলে আশা করছি’।
 
বৃত্তি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৃত্তি কেবল আর্থিক প্রণোদনাই নয়, এটা শিক্ষার্থীর মেধারও স্বীকৃতি। দেশ যতোই উন্নত হোক না কেনো, এটা চালু থাকবে’।
 
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট খুব বড় কিছু নয়। তবে এটা জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের রাস্তা। জীবনে জ্ঞান অর্জনের কৌশলগুলো মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শেখে।
 
শাহজালাল ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের সভাপতি একে আজাদ অনুষ্ঠানে বলেন, অনেকেই সামাজিক খাতে ব্যয় করতে চান। তবে সাড়ে ৩৭ শতাংশ কর দিয়ে সমাজসেবা করা দূরুহ।

এ ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি।
 
আজাদ বলেন, দেশে খেলাপি ঋণের হার ১১ শতাংশ বলা হলেও এটা ২০ শতাংশের কম নয়। সরকারকে খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে তিনি অনুরোধ জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষাঋণ ও রাষ্ট্রীয় শিক্ষা বৃত্তি চালুর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
 
অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পাস বিভিন্ন কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল পরিবারের ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে শাহজালাল ব্যাংক। এসএসসি পাস শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা ও এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
 
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হাফিজ উদ্দীন মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তপন চৌধুরী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।