ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

ঈদের ছুটি

ব্যাংকের লেনদেনে রেমিট্যান্স গ্রহীতারা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৬
ব্যাংকের লেনদেনে রেমিট্যান্স গ্রহীতারা  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও সোমবার (০৪ জুলাই) খোলা ছিলো কার্যরত তফসিলি ব্যাংকের অধিকাংশ শাখা। এদিন অন্যান্য লেনদেন চোখে না পড়লেও ভিড় ছিলো বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা তুলতে আসা স্বজনদের।


 
সোমবার রাজধানীর বাণিজ্যিকসহ বিভিন্ন এলাকার খোলা তফসিলি ব্যাংকের চিত্র ছিলো এমনই।  

৬ জুলাই বুধবার ঈদ‍ুল ফিতর ধরে এবার ৫, ৬ ও ৭ জুলাই ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৩ জুলাই শবে কদরের ছুটি।  

মাঝের একমাত্র কর্মদিবস ৪ জুলাইও সরকার নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে। ৮ ও ৯ জুলাই শুক্রবার এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।  

সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংকিংখাতও দীর্ঘ ছুটির ফাঁদে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে নিজ উদ্যোগে ২-৪ জুলাই ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয়।  

আর এতে সাড়া দিয়ে ২ থেকে ৪ জুলাই অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় শাখাগুলো খোলা রাখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  

রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা অন্যান্য লেনদেন ছিলো না বললেই চলে। তবে ভিড় ছিলো রেমিট্যান্স গ্রহীতাদের। একই অবস্থা রূপালী ও জনতা ব্যাংকেরও।  

রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দা সাবিনা আক্তারের। স্বামী থাকেন ইতালিতে। ঈদ উপলক্ষে টাকা পাঠিয়েছেন তিনি। তাই সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ে স্বামীর পাঠানো রেমিট্যান্স তুলতে এসেছেন সাবিনা।  

বললেন, ব্যাংক খোলা না থাকলে টাকা নিতে হতো ঈদের পরে। অথচ উনি (স্বামী) টাকা পাঠিয়েছেন ঈদের জন্য। সময় মতো টাকা তুলতে না পারলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হতো।  

শুধু সাবিনাই নয়, ব্যাংক খোলা থাকায় তার মতো আরও স্বজন প্রবাসীদের পাঠ‍ানো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারছেন।  

সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) গোপীনাথ দাস বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহক যাতে কোনো ধরনের ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য ছুটির দিনেও স্থানীয় শাখা খোলা রাখা হয়েছে।  
 
‘শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরেন রেমিটেন্স স্পট ক্যাশ। এই তিনদিনে প্রায় ৩০০ গ্রাহকের রেমিট্যান্সের টাকা প্রদান করা হয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো দিনে ৫ থেকে ১০ জন করে। ’ 
 
তিনি বলেন, অটোমেশনের আওতাধীন যে কোনো শাখার গ্রাহকরা স্থানীয় শাখা থেকে চেক দিয়ে টাকা তুলতে পেরেছেন এই ক’দিন। লেনদেন হয়েছে আমদানি-রফতানিকারকদের হিসেবেও।  

‘লেনদেনের সুবিধার্থে জেলা সদরের শাখা ছাড়াও ডিলার শাখা ও বাণিজ্যিক এলাকার শাখাগুলো খোলা রাখা হয়েছে। ’ যোগ করেন এই ব্যাংকার।    
 
জনতা ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় গিয়ে দেখা যায়, টাকা জমা ও তোলার জন্য কোনো গ্রাহকের লাইন নেই। তবে রেমিট্যান্স, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের লেনদেন হচ্ছে।  
 
করপোরেট শাখার ফার্স্ট অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান বলেন, সাধারণ গ্রাহক টাকা জমা বা তোলার জন্য আসছে না। যারা আসছেন সবাই রেমিটেন্সের টাকা নিতে।  
 
‘আর প্রাইম টেক্সাটাইল কর্তৃপক্ষ এক কোটি ৮২ লাখ টাকা নিতে এসেছে। অনেক ব্যবসায়ী টাকা জমা দিয়েছেন’ বলেও জানান তিনি।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লেনদেন হয়েছে মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকা ও বড় বড় বিপণি বিতান সংলগ্ন অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের শাখাগুলোতেও।  
 
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান আনিস এ খান বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহকের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা করেই ব্যাংক খোলার রাখা হয়েছে। আর এতে অনেক গ্রাহক উপকৃতও হয়েছেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৬
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।