ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

অর্থবছরের শেষার্ধে বেড়েছে ভোক্তা ঋণ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
অর্থবছরের শেষার্ধে বেড়েছে ভোক্তা ঋণ 

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছে। এতে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগ না বাড়লেও শেষার্ধে বেড়েছে ভোক্তাখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি।

 
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক স‍ূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বেসরকারিখাতে ঋণপ্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে রাখতে চাইলেও ঋণপ্রবৃদ্ধি ছাড়িয়ে গেছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশের ঘর। আর এ ঋণ গিয়েছে মূলত ভোক্তার ভোগ-বিলাসে।  
 
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে এ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বেসরকারিখাতে সার্বিক ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। ভোক্তাখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়লেও এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।  
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বাড়লে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হয়। এতে গতি পায় প্রবৃদ্ধির চাকা। বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে গিয়ে মূল্যস্ফীতিও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায় বিনিয়োগ বাড়বে, তবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মূল্যস্ফীতি।  
 
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ধারণার চেয়ে বেশি হলেও বিপরীত চিত্র সরকারি খাতে। ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বরং কমেছে। আর এতে শঙ্কিত বিশ্লষকরা। ব্যাংক থেকে না হলেও সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় ব্যাংকখাতের আমানতের প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ১৩ শতাংশে।  
 
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আগামী মুদ্রানীতিতে আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বর্তমানে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি দিয়ে ২০ শতাংশ বেসরকারিখাতের প্রবৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।