ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

রিজার্ভের পুরো টাকা ফেরত আসবে: গভর্নর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
রিজার্ভের পুরো টাকা ফেরত আসবে: গভর্নর

ঢাকা: ফেডারেল রির্জাভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থের পুরোটাই ফেরত আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।  

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

ফজলে কবির বলেন, ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাসিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের কাছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার গিয়েছিল। সেখান থেকে অন্যান্য অ্যাকাউন্টেও এই অর্থ স্থানান্তর হয়। ফিলিপাইনের ব্লু  রিবন সিনেট কমিটি ৬টি হিয়ারিং করেছিল দেশটির গত সরকারের মেয়াদে। বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদেও হিয়ারিং হবে। ৬টি হিয়ারিংয়ের এক পর্যায়ে এক ব্যবসায়ী স্বীকার করেছেন তার কাছে টাকা আছে। যথারীতি তিনি ১৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউএস ডলার ফিলিপাইনের এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের কাছে জমা দিয়েছেন। সেটা কোর্টের ডিউ প্রসেস শেষে আমরা পেয়ে যাচ্ছি।

গভর্নর আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আমাদের তরফ থেকে যা যা করার করেছি। অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আমরা মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল সিস্টেমে দ্বারস্থ হয়েছি। ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল আমাদের আন্তরিকভাবে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। দেশটির ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ফিলিপিন্স’ও আমাদের সহযোগিতা করেছে।

ফজলে কবির বলেন, আমি সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ফিলিপিন্সের গর্ভনরের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়াও ফিলিপিন্সের অ্যাম্বাসেডর জন গোমেজ সমস্ত বিষয় কোঅর্ডিনেট করছেন। অ্যান্টি মানি লন্ডারিংয়ের কাছে আরও কিছু অভিযোগ দায়ের করেছি।

‘আরও অর্থ ফেরত পাওয়ার আশায়। অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ফর ফিউচার মামলা করেছে। তাদের যে অ্যাসেট জব্দ করা হয়েছে সেগুলো থেকে আমরা আশা করছি আরও অর্থ আসবে। বাকি অর্থের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ফিলিপিন্স ব্যাপকভাবে তদন্ত করছে। ’

গর্ভনর বলেন, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি তদন্ত আমাদের পক্ষে আসবে। তার ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ব্যাংক ফিলিপিন্স বা অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল তাদের আদালতে আরসিবিসিকে দায়ী করবেন। যদি আরসিবিসিকে সফলভাবে দায়ী করতে পারে, তাহলে আমাদের পুরো টাকা ফেরত আসবে।

রিজার্ভ চুরির বিষয়টি সিআইডি বিশদভাবে তদন্ত করছে। সরকারের কমিটি তদন্ত শেষ করেছে। রির্পোট জমা দিয়েছে। তা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আছে। ফরেনসিক তদন্ত করেছে মেনডিয়ান ফায়ার আই। তাদের রির্পোটও সরকারের কাছে। সরকার দেখে এটা আমাদের দিবে। যদি কোন অ্যাকশনের প্রয়োজন হয় সরকার আমাদের জানাবে- বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রযুক্তি বিষয়ে গর্ভনর বলেন, আমাদের এখানে আমরা একটি রেমিডিডেশন প্লান নিয়েছি। এটি পুরো সিস্টেম রেমিডিয়েশন প্লান। যেটাতে সুইফট সিস্টেম আমরা পুরোপুরি স্টাবিলিস্ট করছি। সব টেকনোলজি আমরা নতুন করে লাগাচ্ছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এস কে সুর চৌধুরী, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আল্লাহ মালেক কাজেমী, ফয়সল হোসেন ও আক্তারুজামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।