ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

এক ছাদের নিচে সরকারি বিশেষায়িত সব ব্যাংক

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এক ছাদের নিচে সরকারি বিশেষায়িত সব ব্যাংক

আধুনিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল ও কার্যকর রাখতে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম।

ঢাকা: আধুনিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল ও কার্যকর রাখতে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম।

দেশের অর্থনীতির বিশেষ বিশেষ দিক নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন সময় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে আটটি বিশেষায়িত ব্যাংক। এদের মধ্যে দু-একটি ছাড়া আর কারোই নিজস্ব জমি ও ভবনে প্রধান কার্যালয়ে নেই। দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চলছে ভাড়া করা ভবনে।

এদের মধ্যে অন্যতম একটি আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার দুই দশক পার হলে নিজস্ব ভবনের মালিক হতে পারেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত এই ব্যাংকটি। বিভিন্ন সময় প্রধান কার্যালয়ের জন্য ভবন লাভের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে প্রধান কার্যালয়ের জন্য নিজস্ব ভবনের দাবি করে আসছেন ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান। সর্বশেষ দ্বারস্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ জন্য রাজধানীর রাজউক অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আরেক বিশেষায়িত কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জায়গার উপর সব বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য একক নিজস্ব ভবন নির্মাণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারই আলোকে শুরু হয়েছে কার্যক্রম।

বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ বেগম নিলুফার ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিশেষায়িত আটটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যেসব বিশেষায়িত ব্যাংকের নিজস্ব প্রধান কার্যালয় নেই। তাদের এক ছাদের নিচে নিয়ে আসতে ১ রাজউক অ্যাভিনিউতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ৩৬ দশমিক ২৪ একর জমিতে তিনতলা বেইজমেন্টের উপর ৩০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।

ভবনের সর্বমোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪শ ২৭ দশমিক ৬৪ বর্গফুটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে (প্রতি বর্গফুট ৭হাজার ৮শ ৮৩ টাকা ৬৯ পয়সা) দুইশ দশ কোটি ৮৩লাখ ১৬ হাজার ৬শ ৩৬ টাকা।

প্রতিটি ব্যাংককে নিজেদের ফ্লোর ক্রয় ছাড়াও পার্কিংয়ের জায়গা কিনতে হবে। এজন্য চাহিদার অনুপাতে খরচের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। নির্মাণ ব্যয় ছাড়াও পরিশোধ করতে হবে জমির জন্য নির্ধারিত আলাদা দাম।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগ্রহী প্রত্যেকটি ব্যাংক ভবন ক্রয়ের অর্থ সংস্থানের বিষয়টি নিজেদের পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

প্রাথমিকভাবে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক নয়টি গাড়ি পার্কিংসহ তিনটি ফ্লোর ক্রয়, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ঢাকা কর্পোরেট শাখা, স্টোররুম, রেজিস্ট্রার রিকভারি সাইট স্থাপনসহ তিনটি গাড়ি পার্কিংসহ ফ্লোর, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তিনটি ফ্লোর ও ২০টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এই ভবনে চারটি ফ্লোর ও ২০টি গাড়ি পার্কিং সুবিধাসহ প্রধান কার্যালয় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিজেদের পর্ষদ সভায় অনুমোদন করেছে।

বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী জমির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এজন্য একটি স্বনামধন্য জমির মূল্য নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হবে। তবে দাম নিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কোনো আপত্তি থাকলেও দাম পুনঃনির্ধারণও করা হবে।

এ বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই কাজ শুরু হবে। আগে ৪০ তলা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও রাউজক অনুমোদন না দেওয়ায় এখন ৩০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ সয়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।