রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শনিবার (১১ মার্চ) ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ পরিকল্পনার কথা শোনান।
জীবনে ১৬ বছর বৃত্তি পেয়েছেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৃত্তি অনেকটা টোকেন ছিল- ৩ টাকা, ৫ টাকা, ২০ টাকা; এর বেশি পাইনি।
নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আশা করবো ভবিষ্যতে সরকারও, আমরাও এদিকে অগ্রসর হবো।
‘সরকারের কোষাগার ভরার জন্য অবশ্যই সাধারণ জনগণেরও সহায়তার প্রয়োজন। তাদের আরও বেশি করে কর দিতে হবে, সরকারের রাজস্ব বাড়াতে হবে। তাহলে সরকার কার্যক্রম নেওয়ার জন্য…। ’
তবে এজন্য তিনি অনুষ্ঠানে কোনো প্রোপাগান্ডা করতে আসেননি বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি দুই হাজার ২৮ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে এবার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের তরফে। বর্তমানে এ ব্যাংকের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ১৬১ জন। আর মোট বৃত্তি পেয়েছে ৪৩ হাজার ৬২৮ জন।
বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মতো শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে এলে সেটি সবার বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আরও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এটা অনুসরণ করলে খুবই ভালো হবে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে, অন্য বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এটা করতে হবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্যোগ দর্শনীয় এবং উল্লেখযোগ্য উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এটা করলে দেশের বহু লোক দাতব্য কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হবে।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা যেন আমার সঙ্গে আলোচনা করে অনুষ্ঠানের ঠিক করেন, তার থেকে বুঝতে পারেন এই অনুষ্ঠানে আমার আগ্রহ কতো বেশি।
ব্যাংকটির এই কর্মসূচির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের কার্যক্রম একদিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণ করলো, অন্যদিকে দেশ ও সমাজ গঠনে মূল্যবান অবদান রাখতে সক্ষম হলো।
জাতির উন্নয়নে প্রধান বিষয় শিক্ষার প্রসার জানিয়ে মুহিত বলেন, দেশে ৩০ শতাংশের বেশি জনগণ অশিক্ষিত। প্রাথমিক স্তরে ৯৩ শতাংশ শিক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছি। যদিও প্রতিবন্ধীদের বিশেষ প্রয়োজন পূরণ করতে পারিনি। মাধ্যমিক পর্যায়ে তেমন অগ্রগতি সাধন করতে পারিনি, তবে আগের তুলনায় যথেষ্ট ছাত্র-ছাত্রী যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশি কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
ডাচ-বাংলার মেয়েদের ৯০ শতাংশের বৃত্তি প্রদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, মেয়েদর এগিয়ে নিতে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কাজ করছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য যথোপযুক্ত সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের সম্ভব হয়নি। এ দিকে তারা বিশেষ নজর দিয়েছে।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা দেশ ও জাতির জন্য সমাজে অবদান রাখবে বলে আশা পোষণ করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিন এবং বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
এমআইএইচ/এইচএ/
আরও পড়ুন
** বড় বড় প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবৃত্তি দিলে অনেকে উদ্বুদ্ধ হবে