মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ‘ক্রেডিট অপারেশন্স অব ব্যাংকস ২০১৬’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের ওপর প্যানেল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিআইবিএম’র উদ্যোগে এ গবেষণা হয়েছে।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এজন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। একক কোনো প্রচেষ্টায় হবে না। ব্যাংকারদের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হচ্ছে আমাদের কোনো ফোরাম নেই। ব্যাংকারদের অ্যারেস্ট করার পরও বলার কেউ নেই। ব্যাংকারদের অসহায় অবস্থায় ল্যান্ডিং করতে হয়। ল্যান্ডিং ডিসিশনে ভুল হতে পারে। টাকা সবচেয়ে বড় জঞ্জাল। এটি নিয়ে কাজ করতে গেলেই ভুল হতে পারে। মিসটেক আর ক্রাইম এক জিনিস নয়। এখন এ দু'টিকে গুলিয়ে এক করে ফেলা হয়েছে। ব্যাংকারদের কথা বলার সময় এসেছে। ব্যাংকারদের অ্যারেস্ট করলেও বিনিয়োগ গর্তের মধ্যে চলে যাবে।
তিনি বলেন, বেনামি চিঠি ও পত্রিকার খবরের সূত্র ধরে ব্যাংকারদের অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। এভাবে অ্যারেস্ট না করে মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দায়িত্ব দেন। তারা আপনাদের বললে তারপরই ব্যবস্থা নেন। আমরা কোনো খেলাপির নামে মামলা করলে তারা হাইকোর্টে গিয়ে রিট করেন। বারবার রিট করে আটকে রাখায় আমরা রিটের জাল থেকে বের হতে পারছি না। বড় বড় খেলাপিরা ট্যাক্স দিতে চায় না। রিট করে বছরের পর বছর স্থগিত করে রাখেন তারা।
তিনি আরও বলেন, যে দেশের জিডিপি ৭ দশমিক ২, সে দেশের ব্যাংকখাত দুর্বল এটা আমি বিশ্বাস করি না। এই জিডিপি হয়েছে সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। ব্যাংকিং সেক্টর সব সময় স্ট্রং আছে। আমাদের ২০টি শাখায় একশো জন গ্রাহকের মধ্যে ৮০ শতাংশ খেলাপি। আমাদের খেলাপি ঋণের হার অবলোপনসহ ৪০ শতাংশ। শুনতে খুব খারাপ লাগছে। আশার খবর হলো আমাদের এক হাজার দুইশো শাখার মধ্যে ছয়শো শাখার খেলাপি ১০ শতাংশের নিচে। অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলী ও মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এসই/এএটি/এমজেএফ