ডালিমের গুলশানের বাড়ি বিক্রির অর্থ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের পর তার নামে সোনালী ব্যাংকের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখায় নিষ্ক্রিয় আমানত হিসাবে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের (বাংলাদেশি নাগরিক) বিচারার্থে ও দণ্ডনার্থে বাংলাদেশে আনার বিষয় পর্যালোচনা ও এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের উদ্যোগে গঠিত টাস্কফোর্সের সভার সিদ্ধান্তে এই অর্থ দ্রুত বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। তার আলোকেই মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিমের নামে ব্যাংকে থাকা এই অর্থ রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, ডালিম সোনালী ব্যাংকের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট শাখা থেকে গুলশানের বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ পরিশোধ না করেই তিনি পালিয়ে বিদেশে চলে যান। পরবর্তীতে অর্থ আদায়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। আদালত গুলশানের বাড়ি নিলামে বিক্রির নির্দেশ দেন। ২০০৬ সালে নিলামে বাড়িটি এক কোটি ৭৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। ব্যাংকের পাওনা এক কোটি ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা। বাকি অর্থ ডালিমের নামে আমানত হিসাবে রেখে দেয় সোনালী ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ব্যাংক শেয়ার ও ব্যাংকের সান্ড্রি হিসাবের অর্থ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
এসই/জেডএম