মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
তিন মাস পরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বিএসইসি এটিকে এসএলআর দেখানোর দাবি করে। তবে তা না করে ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী এলসিআরে উচ্চমানের সম্পদ (হাইভোল্টেজ এসেট) হিসেবে দেখানোর কথা বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কর্পোরেট বন্ড থাকলেও তা জনপ্রিয় হচ্ছে না। এর বিক্রি বাড়াতে ব্যাংকের এসএলআরের সঙ্গে যুক্ত করতে ব্যাংকগুলো দাবি করে আসছে। সমন্বয় কমিটির সভায় বিএসইসিও এ দাবি জানায়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এর বিপরীতে যেহেতু সরকারের গ্যারান্টি নেই সেহেতু এসএলআর হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই। তবে ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী অন্যান্য এলসিআরে এটি দেখানো যেতে পারে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, কর্পোরেট বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি একটি প্রস্তাব দিয়েছে। সেটি কিভাবে কার্যকর করা যায় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছে। এছাড়া ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রিতে সিকিউর ওয়েবসাইটের ব্যবহার কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় ঢাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও আজিজ-কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান দু’টি হাইকোর্টে যে রিট করেছে তা আইনি মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দাবি করেছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো।
এদিকে ব্যাংকগুলো দাবি করেছে অভিন্ন একটি সুনির্দিষ্ট ফি। বিষয়টি কিভাবে করা যায় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহারকারীদের তথ্য নিশ্চিত হতে বিটিআরসির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সমবায় সমিতি ও ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সমবায় অধিদপ্তর ও এমআরএ’র মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এসই/জেডএস