বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন বক্তারা।
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় ফজলে কবির বলেন, এই সম্মেলনে যেসব পেপার উপস্থাপন করা হবে তার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে; যা আমাদের নীতিমালা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
প্যানেল আলোচনায় ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ বলেন, অধিকাংশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন করে থাকে। জিডিপিতে খেলাপি ঋণ ১২ শতাংশ দেখানো হলেও প্রকৃত খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, খেলাপি ঋণের উপযুক্ত কোনো কারণ স্পষ্ট নয়। কী কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে তা তুলে আনতে হবে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদ নাকি ব্যবস্থাপনা কমিটির কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে সেটা দেখতে হবে।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী বলেন, শরীয়া ভিক্তিক ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে তাদের নিয়ম পালন করছে না। এসব ব্যাংকের জন্য একটি আইন প্রণয়নের সময় হয়ে গেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ব্যাংকারদের চাকরির কোনো নিরাপত্তা নেই।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী। তিনি ব্যাংকিং খাতের ওপর বিভিন্ন সেশনে আলোচনার বিষয়বস্তুর রিভিউ পাঠ করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘মাইক্রো ব্যাংকিং এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এসই/এমজেএফ