মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সীমান্ত ব্যাংকের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মুহিত বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই সরকারের অন্যতম মূল লক্ষ্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য সব ব্যাংককে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের বেশি বেশি ঋণ দিতে হবে। নতুন ব্যাংক হিসেবে সীমান্ত ব্যাংকের উচিত হবে ক্ষুদ্র ও মধ্যম ব্যবসায়ীদের বেশি করে ঋণ দেওয়া।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের সীমান্ত অঞ্চলে সীমান্ত ব্যাংকের শাখা স্থাপন করে উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস সীমান্ত এলাকায় বেকারত্ব না থাকলে চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকাণ্ড কমে যাবে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান বলেন, সীমান্ত ব্যাংকের গ্রামীণ অর্থনীতিতে মনোনিবেশ করেছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় এনে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চেষ্টা করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাজধানীর ধানমন্ডির পিলখানা সীমান্ত স্কয়ারে ব্যাংকের প্রথম শাখার উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় ব্যাংকটির। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎকালীন মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ ওই শাখার উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এসই/এমজেএফ