শনিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ’ বিষয়ক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে আমরা এ বিষয়টাকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের আরও সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রফতানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। এটা কেন হচ্ছে? এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি-না তাও বাংলাদেশ ব্যাংক নজর রাখছে।
বিএফআইইউ-এর প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, সরকারের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কার্যক্রমের কারণে অর্থপাচার অনেক কমে গেছে। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার পরিমাণ কমে যাওয়া তার একটি বড় প্রমাণ।
‘মানি লন্ডারিংয়ে শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ একসময় ৫২তম থাকলেও বর্তমানে ৮২তম স্থানে চলে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে। ’
বিএফআইইউ-এর উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথ বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাইবার ক্রাইম। এশিয়ার দেশগুলোতে তুলনামূলকভাবে আইনের শাসন ও সুশাসনের কিছুটা ঘাটতি থাকায় এখানে এ ঝুঁকির পরিমাণ দিনদিন বাড়ছে। বর্তমান সময়ে ব্যাংক খাত অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য পড়েছে। প্রধান প্রধান ঝুঁকি নিয়ে বিশেষ ভাবনার প্রয়োজন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৮
এসই/এমএ