সোমবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথোরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
একই দিন অন্য এক সার্কুলারের মাধ্যমে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্যও ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজনহবে না বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জমির দলিল বা কোম্পানির বিভিন্ন দলিলাদি জামানত হিসেবে জমা আছে। এসব নথি সংরক্ষণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান এখানকার ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে এজেন্ট নিয়োগ করে। এতোদিন এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগত।
সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার অনুমোদন নিয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা বাইরে থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। আর সরকারি খাতের হ্রাস করা সুদের ঋণ নেওয়া হয় এ সংক্রান্ত স্থায়ীকমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে।
উভয় ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়াই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় ব্যাংক এখন থেকে জামানত নথি সংরক্ষণ করতে পারবে।
এদিকে একই বিভাগ থেকে পাঠানো অন্য সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের বিদেশি ঋণের কিস্তির সুদ ও মূল বিদেশি ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা অনুসরণ করলেই হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত সেবামাসুলও পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এসই/এমএ