মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সন্তুষ্ট হয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী বোর্ড সভায়ই ব্যাংকটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে।
এই ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জসীম উদ্দিন। সঙ্গে আছেন তার ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম।
পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে নতুন ব্যাংক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্ষদের সভায় তিনটি ব্যাংকের প্রস্তাব তোলা হয়। বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পর্ষদ। বাকি দু’টি শর্তসাপেক্ষে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের প্রস্তাবে ও নথিপত্রে কিছু ঘাটতি ও ত্রুটি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করে দিলেই পর্ষদ অনুমোদন দেবে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার পরিবর্তন হয়েছে। নতুন শেয়ারহোল্ডারদের তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। আর সিটিজেন ব্যাংকের দু’জন উদ্যোক্তার কর বকেয়া আছে। তাদের কর পরিশোধ করে এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) থেকে ছাড়পত্র পেলেই বিষয়টি বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ।
পিপলস ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংককে অনুমোদন দেওয়া হলে দেশে মোট ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২টি।
বিধি মোতাবেক, ১০ লাখ টাকা আবেদন ফি দিয়ে নতুন ব্যাংকের জন্য পরিশোধিত মূলধন লাগে ৪০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ উদ্যোক্তাদের ৪০০ কোটি টাকা জোগান দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
এসই/এইচএ/