ঢাকা: এক বছরের ব্যবধানে দেশের ব্যাংকগুলোর আইটি খাতের নিরাপত্তায় বরাদ্দ বেড়েছে ৪ শতাংশ।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এ আইটি অপারেশনস অব ব্যাংকস শীর্ষক এক অনলাইন কর্মশালায় উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইটি সিকিউরিটিতে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। ২০১৯ সালে মোট আইটি বাজেটের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্ধ ছিল। ২০২০ সালে মোট আইটি বাজেটের সাড়ে ৯ শতাংশ আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্দ রাখা হয়।
আইটি খাতের নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ানোর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে দফায় দফায় সাইবার আক্রমণের কারণে সচেতনতা বাড়ায় আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্ধ বেশি রাখছে ব্যাংকগুলো।
কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন খান। পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন—বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম, সহকারী অধ্যাপক কানিজ রাব্বী, প্রভাষক মো. ফয়সাল হাসান এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন মজুমদার।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (প্রোগ্রামিং) দেবদুলাল রায়, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাঈনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মশালা উদ্বোধন করে বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও প্রযুক্তি আরও বেশি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবার মান বাড়াতে হবে। যাতে গ্রাহকরা আরও আস্থার সঙ্গে ব্যাংকিং করতে সক্ষম হয়। আর্থিক ও ব্যাংকিং সেবায় এখন তথ্য প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যে সব সুপারিশ ও মন্তব্য আসছে তা গবেষণা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এসই/এমজেএফ