ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
জঙ্গিবাদ দমনে জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ছবি:বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জঙ্গিবাদ দমনে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে কনভেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
মঙ্গলবার (২১ জুন) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।


 
সরকারের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান ‍অতিথি মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে বিভ্রান্তিতে রেখে, বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে এই ভয়াবহ সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমি আবারও বলতে চাই, অনেক হয়েছে, এনাফ ইজ এনাফ। দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।

‘এখন এই উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের নাম করে আরও যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের দিকে যাচ্ছে দেশ। এটি বন্ধ করার চেষ্টা করুন। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে কনভেনশনের মধ্য দিয়ে একটা জাতীয় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। অন্যথায় ভয়াবহ এই অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো উপায় নেই। ’
 
ক্রসফায়ার নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন,  অভিজিৎ হত্যাকারী সন্দেহে শরিফ নামের যে ছেলেকে গতকাল (সোমবার) হত্যা করা হয়েছে তার আসল নাম মাসুদ রানা।

‘৪ মাস আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। গতকাল তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ১৮ বছর বয়সী ফাহিমকে গুলি করে মারা হয়েছে। যাদেরই আসামি বলে ধরা হচ্ছে তাদেরই গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। কারণ, সরকার আসল সত্য গোপন করতে চায়। ’
 
‘জঙ্গিবাদ দমনের নামে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে’ অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছি। শুধু বক্তব্য নয়, কাজও করছি। তাবেলা সিজার হত্যার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা জাতীয় কনভেনশনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। যে কনভেনশনের মাধ্যমে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদ উৎপাঠন করবে।

‘আসলে সরকারের উদ্দেশ্য জঙ্গিবাদের উৎপাঠন নয়, উদ্দেশ্য হলো জঙ্গিবাদের কথা বলে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। ’
 
ঢাবি ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্ম ও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলন থেকে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছে।

‘কিন্তু দুঃখ হয়, অত্যন্ত লজ্জা হয়। আজকে যখন সমগ্র জাতি ফ্যাসিস্ট শক্তির নিযাতনে নিপীড়নে পদদলিত হচ্ছে, যখন জনগণের অধিকার ভূ-লুণ্ঠিত হচ্ছে, যখন আমার ছাত্র ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, গুম করে দেওয়া হচ্ছে, পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা মিছিলও আমরা বের হতে দেখি না। ’
 
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাবি’র সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল হক বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার, সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক রয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
 
অন্যদের মধ্যে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামন আসাদ, ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ সভাপতি তানভীর রেজা রুবেল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
এজেড/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।