ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি

‘পুলিশের নয়, সিদ্ধান্ত সরকারের’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৬
‘পুলিশের নয়, সিদ্ধান্ত সরকারের’ ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুলিশের নয়, সরকারের।

ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুলিশের নয়, সরকারের।

বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সরকার-ই নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশকে। যাতে তারা বলতে পারে, ‘আমরা তো অনুমতি দিয়েছি, বিএনপি-ই তো সমাবেশ করলো না’।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য অনেক আগেই অনুমতি চায় বিএনপি। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে নয়াপল্টনও চাওয়া হয়েছিলো।

কিন্তু এই দু’টির একটি জায়াগাও না দিয়ে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। সেটাও বিএনপি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২ ঘণ্টা আগে। আমরা নিশ্চিত এই অশুভ চিন্তা পুলিশের মাথা থেকে আসেনি- সরকার করেছে। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায়, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস ভয় পায়।

সভা-সমাবেশ বিএনপির সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার সমাবেশের অনুমতি নিয়ে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। সমাবেশ করতে না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।

সরকারকে উদ্দেশে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, আমরা আপনাদের চরিত্র দেখতে চাই। বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করতে আমরা আবারো ১৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছি। যদি আমাদের অনুমতি দেওয়া না হয়, তাহলে ধরে নেব আপনারা নিজেদের গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলেছেন।

৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনীতির ‘র্টানিং পয়েন্ট’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে সরকার ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করে তরুণদের বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। কারণ এই দিনটিকে তারা ভয় পায়।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিলো, তখন তারাই বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলো। আর ৭ নভেম্বরের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুন‍ঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর আসলে শহীদ জিয়ার নাম আসে এবং আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা কথা মনে পড়ে। সেই কারণেই এত ভয় তাদের’।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, যুব দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্টা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬/১৬২৭ ঘণ্টা.
এজেড/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।