ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

বিভেদ সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায় সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
বিভেদ সৃষ্টি করে  ফায়দা লুটতে চায় সরকার

ঢাকা: দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামীদের মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে সরকার ফায়দা লুটতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (০৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ একে অপরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। দেশেপ্রেমী ও গণতন্ত্রকামীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে সরকার ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজিত করি।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং সেটি হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে। বিষয়টি আপনাদের আমলে নিতে হবে।

তারেক রহমান দেশে ফিরে আসতে চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১/১১-এর সময় প্রথম আঘাত এসেছিলো তারেক রহমানের ওপর। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতেই ওই আঘাত আনা হয়।

ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আবেগ ও অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে এ স্বৈরাচারী সরকারকে সরাতে হবে। এ জন্য সব বিভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে; খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই নির্বাচনে যাবে।

বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ও বিএনপি নিবন্ধন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সরকার।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি কোনো ভাগবাটোয়ারার নিবার্চন চায় না। জনগণের ভোটাধিকার চায়। আমরা চাই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। খালেদা জিয়া ব্যতীত কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না।

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি কারও করুণায় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। এ দেশ রক্তের বিনিময়ে কেনা, কারও দান বা করুণায় নয়।

ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন এবং সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলীম, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
এজেড/ওএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।