মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) রাতে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কুমিল্লার নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দেখা করতে এলে এ অভিযোগ করেন খালেদা।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা আশা করেছিলাম এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রথম পরীক্ষা।
বর্তমান সিইসি ও শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরা থাকলে দেশে কখনও কোনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। সেই জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই এদের বিদায় করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
কুমিল্লার জনগণ যুদ্ধ করে সাক্কুর বিজয় ছিনিয়ে এনেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য কুমিল্লার মানুষকে রীতি মতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিবেশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা করতে দিতে চায় না। তারা সবসময় মানুষকে ভয় পায়। বিশেষ করে তারা বিএনপিকে ভয় পায়। বিএনপি যদি ইলেকশনে আসে জনগণ ধানের শীষের পক্ষেই ভোট দেবে। সেই জন্য তারা সবসময় বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়।
কুমিল্লার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ হলো চোর। তারা টাকা চুরি করে আবার ভোটও চুরি করে। এদের বিপক্ষে লড়তে হলে নিজেদের তৈরি করতে হবে। আপনাদের (নেতা-কর্মীদের) ট্রেনিং দেওয়ার জন্য ওখানে লোক পাঠিয়েছিলাম। পোলিং অফিসার যে হবে তার ট্রেনিং দরকার। তাকে বলবে- ‘তুমি চলে যাও’ আর সে চলে আসবে, তা হবে না। সাহস দেখাতে হবে, তর্ক করতে হবে। যুক্তি-তর্ক দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে, না আমি যেতে পারি না।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলা আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭/আপডেট ০১১৬ঘণ্টা
এজেড/আইএ