...এসির রিমোট লুকায় রাখে। কত কী যে করে! কত নাটক ওখানেও হতে থাকে।
সুতরাং আজ আমি আর বক্তব্য দেব না। আমার পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব আজ বক্তব্য দেবেন এবং পরবর্তী কাজ এগিয়ে নেবেন, বলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাজধানীর ঈমানুয়েলস ব্যাঙ্কুয়েট হলে জোটের শরিক এনডিপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে গিয়ে এভাবেই নিজের অসুস্থতা ও অস্বস্তির কথা তুলে ধরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মাইক ছেড়ে দেন তিনি।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন অর্পিত দায়িত্ব পালন করা আসলেও দুরুহ কাজ। তারপরও অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে আজ কেউ স্বস্তিতে নেই। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে ভ্যাঁপসা গরমের মধ্যে আদালতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সাত দিন পর আবার তাকে হাজিরা দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। শুধু মওদুদ আহমদ নয়, সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর একইভাবে জুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
এই জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্তির একটাই উপায়, সেটি হলো নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু এই সরকার চেষ্টা করছে তাদের অধীনেই আরেকটি পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার। কিন্তু এই দেশের জনগণ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না- বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, কোরআন তেলোয়াত ও দোয়ার পর এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কারী আবু তাহেরসহ জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে ইফতার করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জোটের অন্য নেতাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঞ্চে ইফতার করেন, এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব শেখ গোলাম আজগর, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক রেহেনা প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাঈফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, মুসলীম লীগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
হলরুমের সামনের সারিতে ইফতার করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি জেবা খান, বিএনপি নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মুসলীম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এজেড/এমজেএফ