ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

২০০৮ সাল পূর্ববর্তী সংসদীয় আসন সীমানা চায় বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
২০০৮ সাল পূর্ববর্তী সংসদীয় আসন সীমানা চায় বিএনপি

ঢাকা: ২০০৮ সালের পূর্বে সংসদীয় আসনের যে সীমানায় নির্বাচন হয়েছে, সেই সীমানায় ফিরে যাওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলটি এ দাবি জানায়।

বিএনপির দাবির পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, আগামী নির্বাচনে কিছু আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হবে।

বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৮৪ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে ৩০০ আসন নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন হয়েছে।
 
১/১১ সরকারের সময়কার কমিশন ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আসনগুলোকে ভেঙে প্রায় ১৩৩টি আসনে পুনঃবিন্যাস করেছে আইন-কানুনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে।   অর্থাৎ ভৌগলিক সীমারেখা, প্রশাসনিক সুবিধা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা এগুলো বিবেচনা না করে ১৩৩টি আসনে পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে ২০০৮ সালের পূর্বের সংসদীয় আসনের সীমানায় ফিরে যাওয়ার দাবি নিয়ে এসেছি। এক্ষেত্রে ৩০০ আসনের যেখানেই অসামঞ্জস্যতা আছে সেখানেই পুনঃবিন্যাসের দাবি জানিয়েছি, বলেন সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন শুধু একা আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকল দলের অংশগ্রহণে সম্পন্ন করতে যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। দলীয় সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয় তাহলে এটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয় না।
 
খন্দকার মোশাররফ বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সমান না হলে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে পারবে না। অতএব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড লাগবে।

এদিকে মোশাররফের পর সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কেএম নুরুল হুদা বলেন, বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে কথা হয়েছে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে তারা ১৯৮৪ সালের যে সীমানা করা হয়েছিল, সেই নীতিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমরা তাদের সাথে আন্তরিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আমাদেরও কিছু চিন্তাভাবনা সৃষ্টি হবে। আমাদের যে রোডম্যাপ আছে সেখানে সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি আছে। এই মূহূর্তেই বলতে পারবো না যে, আমরা ৮৪ তেই থাকবো, ২০০৮ এ যেটা ছিল সেটায় থাকবো, নাকি ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ব্যবহার করবো। তবে হ্যাঁ, সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পরিবর্তন আনতে চাই।

তিনি বলেন, একটা বড় রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দাবিটি শুনলাম। এরপর আমরা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সুশীল সমাজ, মিডিয়ার সঙ্গেও এ নিয়েও আলোচনা করবো। কাজেই এই মুহূর্তেই ১৯৮৪ সালের সীমানায় ফিরে যাবো, এটা বলা যাবে না। আমরা চিন্তা ভাবনা করবো।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার বিষয়ে সিইসি বলেন, আমাদের এটা টেকনিক্যাল অফিস। আমরা আইন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন পরিচালনা করবো। আবার  যদি সরকার যেই আইন আছে, সেটার কোনো পরিবর্তন করে, তখন সেই আইন দিয়েই করবো। সুতরাং আইন যেটা আমাদের হাতে আছে সেটাই আমাদের একমাত্র অবলম্বন।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুর রশীদ সরকার ও ক্যাপ্টেন সুজা উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসোন চৌধুরী ও ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।