বুধবার (২১ জুন) পৃথক বাণীতে তারা এ শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। দুই নেতাই তাদের বাণীতে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
খালেদা তার বাণীতে বলেন, ‘লাইলাতুল কদর একটি জ্যোতির্ময় মহিমান্বিত রাত। এ রাতের তাৎপর্য অপরিসীম। মাহে রমজানের এই রাতে নাজিল হয়েছিলো পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন। পবিত্র এই গ্রন্থ মানবজাতির জন্য প্রেরিত হয়েছিলো আলোর দিশারী হিসেবে। মানুষকে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার আল্লাহর নির্দেশ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে। ’
‘মাহে রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনায় নিজেদের জীবনকে পুত-পবিত্র এবং সুন্দরতম করে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ নিয়ে শবে কদরের রজনীতে আল্লাহর অনন্ত অসীম রহমতের দ্বারা পূর্ণতা লাভ করে। এই পবিত্র রজনীতে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল মুসলমানরা নিজেদের বেহেশতের অনন্য উপহার লাভ করার উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রার্থনা করে। ’
‘এই পবিত্র রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইবাদত বন্দেগী মানবজীবনের সব তিক্ততার বিষবাষ্পপকে দূরীভূত করে মুসলমানদের আত্মা পরিশুদ্ধ ও অনাবিল শান্তিতে ভরে ওঠে। ’
খালেদা জিয়া তার বাণীতে মহান আল্লাহর দরবারে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য, মুসলিম উম্মাহর অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
পৃথক বাণীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পবিত্র এ রজনীতে ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল মুসলমানরা বেহেশতি সওগাতের সন্ধান পায়। আজকের এ মহান রাতে আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই দেশ, জনগণ ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য। আমাদের ওপর তাঁর করুণা বর্ষিত হোক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এইচএ/