বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বেলা পৌনে ১১ টায় আদালতে আসেন খালেদা। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশিদকে আংশিক জেরা করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান ও আমিনুল ইসলাম।
এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে পৃথক দুটি দরখাস্ত দেওয়া হয় ও জেরা মুলতবী চাওয়া হয়। এক দরখাস্তে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসাব সংক্রান্ত সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখার লেজার বই ও সমুদয় হিসাব বিবরণী চাওয়া হয়। অপর দরখাস্ত দিয়ে ডকুমেন্টকে বস্তু প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
প্রথম আবেদনের বিরোধিতা না করলেও দ্বিতীয় আবেদনের বিরোধিতা করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসাব সংক্রান্ত সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখার লেজার বই ও সমুদয় হিসাব বিবরণী আদালতে দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা প্রধানকে নির্দেশ দেন। অপর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত নথী পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
জেরার সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন খালেদার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বিদেশে থাকা তারেক রহমানকেও পলাতক দেখিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে। বাকিরা জামিনে রয়েছেন।
২০১০ সালের ০৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদার মামলায় সাক্ষীর জেরা চলছে
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭/আপডেট ১৪৩০ ঘণ্টা
এমআই/আইএ