ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

নিখোঁজ আমিনুর রহমানের সন্ধান চায় ২০ দল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
নিখোঁজ আমিনুর রহমানের সন্ধান চায় ২০ দল ২০ দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নিখোঁজ মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান সন্ধান চেয়েছে ২০ দলীয় জোট।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এ দাবি জানান নেতারা।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নিখোঁজ আমিনুর রহমানের সন্ধান চেয়ে বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এম এম আমিনুর রহমান সরকারের জন্য কোনো থ্রেট ছিলো না। তবু তাকে গুম করা হয়েছে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় রাজনৈতিক জোট ২০ দলকে ভয় দেখানোর জন্য। অর্থাৎ ২০ দলকে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, তোমরা বেশি নড়া-চড়া করলে তোমাদেরও গুম করে দেওয়া হবে।

নির্বাচন সামনে রেখে এমনটি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, আমরা যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হই, তখনই আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করে ফেলা হয়। ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম, বিএনপির সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী, লাকসামের সাবেক এমপি হিরু গুম হয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত আমরা তাদের কোনো খোঁজ পাইনি।

দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের নেতাদের গুম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, এম এম আমিনুর রহমানসহ সব গুমের ঘটনায় সাধারণ মানুষ যাদের সন্দেহ করছে, আমরাও তাদেরই সন্দেহ করছি। কিন্তু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাউকে আমরা দোষারোপ করবো না।  

সরকারের কাছে দাবি করবো অনতিবিলম্বে এম এম আমিনুর রহমানের সন্ধান দিন। এটা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

তিনি বলেন, এভাবে সবাই যদি হারিয়ে যায় তাহলে নির্বাচন করবে কারা? আজ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব গুম হয়ে গেছেন, কাল আরেকজন গুম হয়ে যাবে। একে একে আমরা সবাই গুম হয়ে যাবো। কেউ রেহাই পাবো না। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জমিয়তে উলামায় ইসলামের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান পেশোয়ারী,  যুগ্ম-সম্পাদক মহিউদ্দিন একরাম, এনপিপির চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এজেড/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।