তিনি বলেন, সরকার জানে যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়লাভ করতে পারবে না, তাই তারা বারবার বলছে, 'সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে'। সংবিধান কে রচনা করেছে? সংবিধানকে কেটে ছেটে ছিন্ন-ভিন্ন করা হয়েছে।
‘অনির্বাচিত পার্লামেন্ট দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে জনগণের সম্মতি নেই। তাই সংবিধানের বুলি না আউড়িয়ে মানুষের মনের ভাষা বুঝে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বের করুন’।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চ অডিটরিয়ামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ২০১৪ সালের মত গায়ের জোরে প্রহসন করে ক্ষমতায় থাকতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেত্রীকে মামলা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, ২০১৪ সালের মতো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না।
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দী করেছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করাই বিএনপির জন্য আগামী দিনে বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন না দেয়া হলে আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এএম/এসএইচ