বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও মহসিন মিয়ার পক্ষে ভোট চেয়ে ছাত্রলীগের মিছিল প্রতিহত করতে পাল্টি এ মিছিল করে তারা।
মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতির সামনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির আইনজীবীদের দাবি আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ছাত্রলীগসহ বহিরাগতদের প্রতিহত করতেই এ মিছিল। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সুধু আইনজীবীরাই অংশ নেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা সরকার হুমায়ুন কবির, আব্দুল হামিদ খান ভূঁইয়া ভাষানী, আলমগীর হোসেন, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আল আমিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
এর আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পাল্টা কমিটি নিয়ে আদালতপাড়ায় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে চরম বিরোধ থাকলেও দীর্ঘদিনের সেই বিরোধ ভুলে বৃহস্পতিবার সবাই এক সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিল করতে দেখা যায়।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্যানেলকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল নিয়ে আসা ছাত্রলীগ নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী হাসান ফেরদৌস জুয়েল বক্তব্য রাখেন।
হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, সিনিয়র আইনজীবী আনিসুর রহমান দীপু ও খোকন সাহার প্রতি কৃতজ্ঞ। তাদের সমর্থনে সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও মনোনয়ন বোর্ডের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ ভূঁইয়াসহ আরও অনেকেই আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে দলীয় কোনো বিরোধ নেই। সবার সহযোগিতায় নির্বাচনে জয়ী হলে আইনজীবী সমিতির অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করবো। আইনজীবীদের সার্থে কাজ করবো এবং প্রতিটি কাজ দ্রুততার সঙ্গে করে দেখাবো।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, দলীয় বিরোধ যা ছিলো তা শেষ হয়ে গেছে। আইনজীবীরা বিজ্ঞ। আর আইনজীবীদের নির্বাচনে কোনো বহিরাগতদের তৎপরতা থাকতে পারবে না। আমি চিফ ইলেকশন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশের প্রতি আহ্বান করবো এ নির্বাচন যেন সন্ত্রাসমুক্ত হয়।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু বলেন, স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যোগ্য প্রার্থী নির্ধারনে চেষ্টা করছি। আমাদের নির্ধারন করা প্যানেলই জয়ী হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য চেষ্টা করছি। যোগ্য প্রার্থী চূড়ান্তে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত প্যানেল ঘোষণা করা হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি। ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রাথমিক বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ। ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার। ১২ জানুয়ারি চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ।
আগামী ৩০ জানুয়ারি আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
জিপি