ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ১৪

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৮
খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ১৪ খুলনায় বিএনপি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: ‘গণতন্ত্রের হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে খুলনায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে কমপক্ষে ১৪ নেতাকর্মী আহত ও ৫ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও চেয়ার ছুড়ে মারলে থানার মোড়, কে ডি ঘোষ রোড ও বিএনপি অফিস এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে।

প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।  

পরে বিএনপি অফিস চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এরপর আবার কালো পতাকা মিছিল বের করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি। কিন্তু থানার মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে পরিস্থিতি পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগরীর খুলনা সদর থানার সামনে দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে।  

২০১৪  সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিনটিকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করে খুলনা বিএনপি।
কালো পতাকা মিছিল বের করে খুলনা বিএনপি।  ছবি: বাংলানিউজ
মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বাংলানিউজকে বলেন, ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের কালো দিবস উপলক্ষে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে আসা মিছিলে বিনা কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কমপক্ষে ১৪ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। ’

তিনি বলেন, ‘কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির সমাবেশের কাজ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড-খণ্ড মিছিল কর্মসূচিতে যোগ দেয়। খালিশপুর থানা বিএনপির একটি মিছিল পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে থানার মোড়ে পৌঁছলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানিতে মিছিলের পেছন থেকে লাঠিচার্জ শুরু করে। হামলায় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছোটাছুটি শুরু করলে সমাবেশস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ’

‘পুলিশ খালিশপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে বেধড়ক পেটালে তার জামা ছিড়ে সম্পূর্ণ খালি গা হয়ে যায়। সেই অবস্থায় তিন পুলিশ সদস্য তাকে পেটাতে পেটাতে থানায় নিয়ে যায়। ’ 

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একই স্থান থেকে যুবদল নেতা মেহেদী হাসান, রুহুল, লিপু মল্লিক ও কুদ্দুসকে আটক করে পুলিশ। এ সময় দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা জি এম মাসুদুল হক মাসুমের মোবাইল ফোনটি তার হাত থেকে এক পুলিশ সদস্য কেড়ে নেয়। পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ এবং নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল ও চেয়ার নিক্ষেপের সময় অন্তত ১৪ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে খালিশপুর থানা নেতা আল আমিনের পা ভেঙে যায়। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে দুই মহিলা কর্মী আহত হন। তারা হলেন বিউটি বেগম ও হোসনে আরা। ’

এদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পুনরায় বিএনপি অফিসের সামনে মহানগর বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে।

‘গণতন্ত্রের হত্যা দিবস’ উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫ , ২০১৮
এমআর/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।