শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে এমন দাবিই করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা।
এদিকে, বিগত দিনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় চতুর্মুখী চাপে রয়েছেন কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির মেহেরপুর জেলা সভাপতি মাসুদ অরুন বাংলানিউজকে জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি যেন কোনো প্রহসনের রায় না দেয়, আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। যদি এ ধরনের কোনো রায় হয় তাহলে জনগণ এর জবাব দেবে। এছাড়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। এই দাবি আদায়ে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। আমরা আমাদের দাবির কথা ম্যাডামকে জানিয়েছি। এ লক্ষ্যে দলের প্রধান জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, নির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরু থেকে রংপুর জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা সভাপতি মো. শাহাজাহান, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম আলমসহ অন্যান্য জেলা থেকে আগত নেতারা ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য রাখেন।
এসব নেতাকর্মীদের অধিকাংশই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে একটি সফল আন্দোলেনের কর্মসূচি দেখতে চান। তারা বলেন, বিএনপিকে আরো কৌশলী হয়ে সংঘবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নেতাদের বিভিন্ন এলাকার দায়িত্ব দিয়ে তাদের অধীনে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে।
এর আগে শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ০৫ মিনিটে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হোটেল লা মেরিডিয়ানের সভাস্থলে পৌঁছালে তার সভাপতিত্বে শুরু হয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সভা।
** নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে
** ‘আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এএম/পিএম/এসআইজে/এসএইচ