শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার, অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব জেলা বারে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।
মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে পুরোপুরি বেআইনিভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা আদালতে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করার পরও আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন।
রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে ‘গণগ্রেফতার’ চলছে দাবি করে তিনি বলেন, সারাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ‘হোলসেল অ্যারেস্ট’ করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে পর্যন্ত মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রায়ের দিন আমরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি, আদালতের সিসিটিভি ফুটেজে আছে, শত শত টেলিভিশন ক্যামেরায় রেকর্ড আছে, তবু তারা বলছে আমরা নাকি ১২টার সময় মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছি। আমাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার রায়ও ঠিক এভাবে অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে অন্যায় ও বেআইনিভাবে সাজা দেওয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
দেশের মানুষ এই রায়কে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি দাবি করে জয়নাল আবেদীন বলেন, জনসম্মতিহীন অগণতান্ত্রিক সরকারের স্বেচ্ছাচারি শাসন, ক্ষমতার প্রবল দাপট, বিপুল লুটপাটের অভিযোগ সুরাহা করা হয়নি। এখন জণগন মনে করছে, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকারের অতি উৎসাহের কারণে এই রায় দেওয়া হয়েছে, এর মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন ঢাকা শহরে সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। এতে মানুষের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম স্বজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশিকুজ্জামান নজরুল, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট মির্জা মাহমুদ, অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট জামিউল হক, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮/আপডেট ১৪৪০ ঘণ্টা
এসআইজে/এইচএ/