শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ দাবি জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখন কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বৈঠক চলছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে। দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার মুক্তি দাবি করা হয়েছে। ’
বিএনপি মহাসচিব জানান, খালেদার অনুপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো চলতে থাকা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দল আগের চেয়ে এখন অনেক ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ থেকে চেয়ারপারসনের মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সাড়ে তিন হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে ফখরুল অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, শনিবার দলের পাঁচ আইনজীবী কারাগারে চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাকে পুরোপুরি সলিটারি কম্পার্টমেন্টে (একলা কক্ষে) নির্জন পরিবেশে রাখা হয়েছে। যেখানে এখন কেউ বাস করে না, ভবনগুলো পরিত্যক্ত স্যাঁতস্যাঁতে। সারাজাতি শুনে ব্যথিত যে, তাকে এখন পর্যন্ত ডিভিশন (জেলকোড অনুযায়ী প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা) দেওয়া হয়নি। তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ, তার যে সার্বক্ষণিক পরিচারিকা, জেলকোড অনুযায়ী তাকেও তার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়নি।
এটাকে ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জেলকোডে পরিষ্কার বলা আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা সাবেক বিরোধী দলের নেত্রী ডিভিশন পাবেন, এজন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। আমরা অবিলম্বে তার মর্যাদা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সরকারকে দায়ী থাকতে হবে জেলকোড ভঙ্গ করার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ
** ম্যাডামকে প্রায় অখাদ্য দেওয়া হয়েছে: মওদুদ