তারা হলেন- অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. সাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. মো. ফাওয়াজ হোসেন শুভ ও ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু।
চিকিৎসকরা কারাফটকের কাছে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেডে তাদের আটকানো হয়।
কারা কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি আবেদনপত্র হাতে পেয়েছি। জেল কোড অনুযায়ী তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সাতদিনে একটি আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে। এ সপ্তাহে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা দেখা করে গেছেন, সুতরাং চিকিৎসকরা এ সপ্তাহে অনুমতি পাবেন না।
কারা সূত্র জানিয়েছে, কারাগারের ভিতরে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার সব ব্যবস্থা রয়েছে। আলাদা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, কারা অধিদফতর বরাবর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার আবেদন করেছি। কারা মহাপরিদর্শক ও অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শকের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা অনুমতি দিতে অপারগতা জানিয়েছেন।
ডা. আব্দুল কুদ্দস আরো বলেন, আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে বলেছি, সারাদেশের মানুষ যেমন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরাও তেমনি উদ্বিগ্ন। তাই আমরা ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসেছি। একটি নির্জন কারাগারে খালেদা জিয়া রাখা হয়েছে। এমন অবস্থায় তার যদি কিছু হয় এর দায় কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা বলেছেন, খালেদার চিকিৎসা যা প্রয়োজন তার সব ব্যবস্থা আছে। যদি প্রয়োজন হয় তবে আপনাদেরও শরণাপন্ন হব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসজেএ/এমজেএফ